শিক্ষার মান উন্নয়নে ভবিষ্যৎ জাতি গঠনের জন্য সমাজের ইতিবাচক ও মান সম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা।.....
বিস্তারিত
০১। প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট- গোপালগঞ্জ জেলার (সাবেক ফরিদুর জেলা, গোপালগঞ্জ মহাকুমা, কোটালীপাড়া থানা) কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত রামশীল ইউনিয়নের এক ছোট্ট গ্রাম কাফুলাবাড়ী। এ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মধু বংশে ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে (১৩০৪ বঙ্গাব্দে) জন্মগ্রহণ করেন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ শশী ভূষণ মধু। পিতা- দীন নাথ মধু। ঐ সময় শিক্ষা লাভের জন্য অত্র এলাকায় কোন বিদ্যালয় ছিল না। কোটালীপাড়ার বালিয়া ভাঙ্গায় ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন। ওখানে কর্তৃত্ব ছিল ব্রাহ্মাণদের। তখন বর্নবাদ এত প্রকট ছিল যে, শুদ্র ও মুসলিম ছেলেদের চাটাইয়ে বসে শিক্ষালাভ করতে হতো। ঐ পরিবেশের মধ্যে শশী ভূষণ মধু কাফূলাবাড়ী থেকে ১৬ কি. মি দূরের ঐ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। অত:পর কলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে আই.এ এবং বি.এ পাশ করেন।কর্মময় জীবনে প্রবেশ কালীন সময়ে তিনি দ্বিমুখী চিন্তায় অনেকটা বিব্রত ছিলেন। একদিকে পরিবার অন্যদিকে অঞ্চলের শিক্ষাহীন নগ্নপ্রায় মানবেতর জীবনচারী দু:স্থ জনগণের অসহায় অবস্থা। দুটিই তাঁকে পীড়া দিতে লাগল। এ সময় তিনি কলকাতার বিখ্যাত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ চিত্ত রঞ্জন দাস এর সংস্পর্শ লাভ করেন। তিনি শশী বাবুকে তাঁর এলাকায় গিয়ে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন। শশী ভূভণ মধু মহাশয়ের নিজস্ব স্বভাব প্রবনতা এবং এ্যাড. চিত্ত রঞ্জন দাসের পরামর্শ যখন এক হলো তখন তিনি আর স্থির থকতে পারলেন না। ফিরে আসলেন দেশে। পরিবার পরিজনের কথা ভুলে নিজেকে উৎসর্গ করলেন দেশ সেবায়। প্রথমেই এলাকার বিশিষ্ট জনদের ডেকে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা বললেন। অধিকাংশই একমত হয়ে শশী ভূষণ মধু মহাশয়কে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। দশরথ বিশ্বাস, ঈশান চক্রবর্তী, রাজকুমার বিশ্বাস জায়গা দান করার কথা দেন। এর পরেই শশী বাবু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করেন। ০২। কারণ- কোটালীপাড়ার পূর্ব উত্তর দিকের ইউনিয়ন গুলোতে কোন বিদ্যালয় ছিল না। এলাকাটি সম্পূর্ণ বিল অঞ্চল। মূলত: অনগ্রসর বিলাঞ্চল বাসীকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে অত্র অঞ্চলের প্রথম গ্রাজুয়েট শশী ভূষণ মধু এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ০৩। কে, কিভাবে এবং কোথায় প্রতিষ্ঠা করেছেন- বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বর্গীয় শশী ভূষণ মধু। প্রথমে তিনি এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিগণকে নিয়ে সভা করেছেন। তাঁর কয়েকজন বিশ্বস্ত সঙ্গী হলো। স্থান নির্বাচন করার জন্য রামশীল ইউনিয়ন বাসীকে ডেকে ইউনিয়ন এর মোটামুটি কেন্দ্রে অবস্থিত জহরেরকান্দি গ্রামকে বেছে নিলেন। সঙ্গীদের নিয়ে প্রত্যেক বাড়ী গিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ালেন। এতে অনেক বাঁধা আসলো। তিনি হাতে পায়ে ধরে তাদেরকে বুঝিয়ে সহযোগিতা নিয়েছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে মার পর্যন্ত খেতে হয়েছে। সমস্ত প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত রামশীল ইউনিয়নের জহরেরকান্দি গ্রামে পুর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ০১/০১/১৯২৫খ্রি. সালে এম. ই. (মিডল ইংলিশ) স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪০ সালে এটি এইচ. ই. (হাই ইংলিশ) স্কুলে রূপ লাভ করে। ৪।সফলতা, ভালো ছাত্র/কে কোথায় আছেন- ১৯৫৭, ১৯৫৯, ১৯৯১,২০১০ সালে ১০০% উত্তীর্ণ হয়, ২০১৬ সালে ৬৪ জনে ৬৩ জন পাশ করে। এছাড়াও ৯০% এর উপরে অনেক কয়েক বছর কৃততকার্য হয়েছে। ১৯৬১ সালে তিনজন প্রথম বিভাগ সহ মেট্রিকুলেশনের শেষ ব্যাচে খুবই ভাল ফলাফল অর্জন করে ছিলেন। ১ম বিভাগ পাওয়া একজন প্রশাসন ক্যাডারে, একজন শিক্ষা ক্যডারে অন্যজন ভারতে গিয়ে সরকরের উচ্চ পদে চাকুরী করেছেন। ১৯৬৮ সালে যিনি ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ছিলেন ফরিদপুর মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। এপর্যন্ত অন্তত ২০ জন বি সি এস ক্যাডার হয়েছেন। ড: সমীর বিশ্বাস অব: যুগ্ম সচিব। বিদ্যালয়ের সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছেন অরুন কুমার বিশ্বাস। তিনি বর্তমান সরকারের কমিশনার, কাস্টমস, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট কমিশনারেট, রংপুর ডিভিশন্, এনবিআর, বিশিষ্ট গোয়েন্দা লেখক ও কর্পোরেট ক্রাইম বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দুইজন অধ্যাপক রয়েছেন সরকারী কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে। ঝুমুর বালা এডিসি পদে কর্মরত। ড: উত্তম কুমার চৌধুরী ইউএস এ তে নাসার একটি শাখা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আটজন পি. এইচ. ডি. ডিগ্রী আর্জন করেছেন। এ ছাড়াও বহু ছাত্র ছাত্রী সরকারী বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত আছে। অনেক ছাত্র ছাত্রী এম বি বি এস, কৃষি বিদ্যা, প্রকৌশল বিদ্যা সহ গুরুত্বপূর্ণ ডিগ্রী অর্জন করেছে, অনেকে এখও পড়ছে। ০৫। বর্তমান অবস্থাঃ বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় পাঁচ শত শিক্ষার্থী এবং ২৪ জন শিক্ষক কর্মচারী স্টাফ রয়েছে। একটি তিন তলা ও একটি চার তলা একাডেমিক ভবন রয়েছে। গেট এবং আংশিক সীমানা প্রচীর রয়েছে। ০৬। কোন সংকট/সমস্যাঃ বিদ্যালয়ের বর্তমান সমস্যা তেমন নেই স্থানীয়দের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। বাকী সিমানা প্রাচীর নির্মান করা জরুরী্। ৩২ শতক জমি ভরাট করে রাখা হয়েছে একটি ছাত্রাবাসের জন্য। ০৭। আগামীতে অনেক ভাল ফলাফল অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। ০৮।করণীয়- বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম সমুন্নত রাখবো এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কে সম্প্রসারিত করার জন্য শিক্ষক বৃন্দ সংকল্পবদ্ধ। প্রায় সবকিছুতে পরিপূর্ণ বিদ্যালয়টি যদি জাতীয়করণ করা হয় তাহলে বিদ্যালয়টির মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এলাকাবাসী উপকৃত হব।.....
বিস্তারিত
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ ধারা মাদরাসা শিক্ষা। সাধারণ শিক্ষার পাশপাশি সমান্তরালভাবে এটি বয়ে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে এবং এ দেশের জন-মানসে তার স্থান করে নিয়েছে সুরক্ষিত ও সুদৃঢ়ভাবে। ধর্মীয় শিক্ষা ও জাগতিক.....
বিস্তারিত
শিক্ষার মান উন্নয়নে ভবিষ্যৎ জাতি গঠনের জন্য সমাজের ইতিবাচক ও মান সম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা।.....
বিস্তারিত